সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
দুইবারে এইচএসসি পাস, প্রথমবারে বিসিএস ক্যাডার!
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করি। পরের বছর আবার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস (জিপিএ ৩.৫০) করি। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিই। তবে ওয়েটিং লিস্টেও জায়গা করতে পারিনি। দ্বিতীয়বার সেখানে আবারও পরীক্ষা দিয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাই।
কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে কোনো চাকরি পাব কি না—এ নিয়ে আশপাশের মানুষজন নেতিবাচক কথা বলত। কিন্তু আমি জেদ করি, যে করেই হোক, বিসিএসে ভালো করতেই হবে! অনার্স তৃতীয় বর্ষের পর থেকেই বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করি। বিসিএসকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলেও বিকল্প হিসেবে ব্যাংক, শিক্ষক নিবন্ধন ও অন্যান্য চাকরির নিয়োগ পরীক্ষারও প্রস্তুতি নিয়েছি। জব সলিউশন বই শেষ করে ফেলি অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার আগেই। যতটুকু পড়তাম তা লিখে রাখতাম এবং গুরুত্বপূর্ণ টপিক বা বিষয়বস্তু নোট করে রাখতাম।
অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার পর বিসিএসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন বই, বিভিন্ন রেফারেন্স বই যেমন—বিশ্বরাজনীতি, মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি পড়েছি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, বাংলাদেশ বিষয়াবলির বিভিন্ন বই, সাময়িকীও কিনে পড়তাম। প্রতিদিন একটি বাংলা জাতীয় দৈনিক এবং প্রতি শুক্রবার একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা নিতাম। ইংরেজি পত্রিকাটি সারা সপ্তাহ ধরে পড়তাম। ফলে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আপডেট থাকার পাশাপাশি ইংরেজি অনেকটা আয়ত্তে চলে আসে।
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার যা যা পড়তাম, শুক্রবার সেগুলো রিভিশন দিতাম। নিজের প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিতাম। বিসিএস প্রিলিমিনারিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত (১০০ নম্বর বরাদ্দ) এই তিন বিষয়ের ওপর বেশি জোর দিয়েছি।
দুর্বলতা কাটানোর জন্য প্রতিদিনের রুটিনে তিন ঘণ্টার চেয়েও বেশি সময় দিয়েছি ইংরেজিতে। ঘুম থেকে উঠে অন্তত পাঁচটি ইংরেজি শব্দ পড়ে লিখে রাখতাম। সিলেবাস ধরে গ্রামারের টপিকগুলো অনুশীলনের সময়ও নোট করেছি। প্রতিদিন দুজন সাহিত্যিক ও তাঁদের সাহিত্যকর্ম পড়া ছিল রুটিনের অংশ। প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখেছি গ্রামার অংশের Parts of speech, determiner, Verb, preposition, Idioms and Phrase, Clasue, Synonyms and antonyms, Sentence, Transformation ইত্যাদি টপিকের ওপর তুলনামূলক বেশি প্রশ্ন থাকে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই টপিকগুলো বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করেছি।
ইংরেজির মতো বাংলায়ও কাছাকাছি টপিকের ক্ষেত্রে অভিন্ন কৌশল অনুসরণ করেছি। যেমন—প্রতিদিন দুজন সাহিত্যিকের রচনা ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, পড়ার সময় নোট রাখা, প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ টপিক বাছাই ইত্যাদি।
বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির মুনীর চৌধুরীর বোর্ড বইটা প্রায় মুখস্থ ছিল। প্রাচীন ও মধ্য যুগের রচনা বা সাহিত্য সপ্তাহের শেষ দিন পড়তাম ও লিখতাম।
গণিতের ওপর দখলকে কাজে লাগিয়ে প্রিলিতে ১৫ এবং লিখিত পরীক্ষায় ৫০ নম্বর নিশ্চিত করার টার্গেট করি। প্রতিটি টপিকের অঙ্ক আগে গতানুগতিক (বিস্তারিত) করতাম, এরপর সেটা শর্টকাট নিয়মে করার চেষ্টা করতাম। যাতে প্রিলি পরীক্ষায় দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর করা যায়। বই অনুসরণ করেছি সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। উচ্চতর গণিত বই থেকে করেছি বিন্যাস ও সমাবেশ অংশটুকু।
প্রিলিতে সবচেয়ে বেশি নম্বর সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত অংশে অর্থাৎ বাংলাদেশ (২০) ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে (৩০) মোট ৫০ নম্বর। আমি সিলেবাসের টপিক ধরে বিভিন্ন রেফারেন্স বই থেকে পড়তাম। এরপর বাজারের প্রচলিত গাইড বই থেকে বিগত সালে আসা বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সমাধান করতাম। রেফারেন্স বই থেকে বিস্তারিত পড়ার সুবিধা হলো—গাইড বই থেকে যে প্রশ্নই দেখতাম, সেগুলোই পরিচিত মনে হতো। বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে বিশদ ধারণা ছিল। প্রিলির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে লিখিত পরীক্ষার এ অংশের (৩০০ নম্বরের) পড়ার অনেকটাই হয়ে যায়।
আমার কাছে ভূগোল বিষয়টা জটিল মনে হতো। তাই এই অংশে মাত্র ৫ নম্বর টার্গেট রেখেছিলাম। নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল বইয়ের পাশাপাশি ফেসবুকের প্রস্তুতি সংশ্লিষ্ট গ্রুপ-পেজ ও অনলাইনের সহায়তা নিয়েছি।
নৈতিকতা ও সুশাসনের ক্ষেত্রেও অনলাইন থেকে প্রশ্ন ও তথ্য জোগাড় করেছি। মানসিক দক্ষতার জন্য বিগত বিসিএস পরীক্ষার প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বাসায় বারবার সমাধান করেছি।
বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হওয়ায় সাধারণ বিজ্ঞানের ভৌতবিজ্ঞান অংশে সময় কম দিয়েছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে কম্পিউটার কোর্স থাকায় প্রযুক্তি বিষয়ের প্রস্তুতিতে বেগ পেতে হয়নি।
৩৮তম বিসিএসই ছিল আমার জীবনের প্রথম বিসিএস। আর এটাতেই সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এখন শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত আছি।
গ্রন্থনা : এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
Source: Kalerkontho
আগস্ট ০৭, ২০২১
পিয়াসা,মৌ,পরীমনি,হেলেনা জাহাংগির, রাজ,মিশুর বাসায় সি আই ডির অভিযান
পিয়াসা-মৌ-পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ
অবৈধ গাড়ি ও অর্থের সন্ধানে সিআইডি
পরীমনি, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনের বাসায় সিআইডির অভিযান, সাবেক এমপিপুত্রের বিএমডব্লিউ ও মিশুর ওডি আর-৮ গাড়ি নজরদারিতে, প্রভাবশালীসহ জড়িত কাউকে ছাড় নয় -সিআইডি
আমদানি নিষিদ্ধ গাড়ির ব্যবসা ছিল আলোচিত মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের। কয়েক বছরে চোরাইপথে গাড়ি আমদানি করে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন তারা। বিআরটিএর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে গাড়ির কাগজপত্র করে তা বাজারজাত করেছে চক্রটি।
এ কাজে তাদের মূল সহযোগী ছিলেন শরফুল হাসান মিশু ওরফে মিশু হাসান। এসব গাড়ি অনেক সময় অবৈধভাবে মাদানি রোডের তার মালিকানাধীন ইউরো কার সল্যুশনে রাখা হতো। যা বিক্রি করা হতো ধনীর দুলালদের কাছে। এ চক্রের কাছ থেকে যারা গাড়ি কিনেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খোঁজে নেমেছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামের সাবেক এক এমপিপুত্রও রয়েছেন। অবৈধ উপায়ে তার সংগ্রহে রাখা কোটি টাকা মূল্যের বিএমডব্লিউ গাড়িটি নজরদারিতে রয়েছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে আনা আরেকটি ওডি আর-৮ ও একটি ল্যাম্বরগিনি গাড়ির সন্ধান করছেন গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া এ সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য এখন তাদের হাতে।
এদিকে চিত্রনায়িকা পরীমনি, মডেল মৌ ও পিয়াসা এবং হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি করা আলোচিত সাতটি মামলা সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্তভাবে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি। সংস্থাটি বলছে, তদন্তে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নাম এলেও তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মামলাসংশ্লিষ্ট ছয়জনের বাসায় শনিবার বিকালে একযোগে অভিযান চালিয়েছে সিআইডি। সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে অবৈধ গাড়ি ও অর্থ উপার্জনসংক্রান্ত তথ্যও রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান বাংলাদেশে দামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবসা করেন। পিয়াসা-মৌ অবৈধ গাড়ির ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তার হাত ধরেই। তারাও দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করতেন। মিশুর ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ২টি রেঞ্জ রোভার, অ্যাকুয়া, ভক্সওয়াগন ও ফেরারিসহ পাঁচটি গাড়ি রয়েছে। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে গাড়ির ট্যাক্স জালিয়াতি করে থাকেন। এছাড়া অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ গাড়ি ব্যবসার মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টাও করেছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদেও মিশু অবৈধ গাড়ি ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে রোববার রাতে গ্রেফতার হন মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ। মাদক আইনের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের শুক্রবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর রাজধানীর তিন থানার পৃথক তিনটি মাদক মামলায় পিয়াসার ৮ দিন ও মৌকে একটি মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বর্তমানে তারা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হেফাজতে রিমান্ডে আছে। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া বুধবার বিকালে পরীমনিকে গ্রেফতারের পর মাদক মামলায় তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, মাঝেমধ্যেই নামি-দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তেন এ চক্রের সদস্যরা। গুলশানের রাস্তায় বিভিন্ন সময়ে তাদের রেস দিতেও দেখা যায়। এমন রেসের সময়ে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়ার পর ওই সড়কে প্রায়ই বের হতেন তারা। কখনো কখনো শহরের ধনীর দুলাল, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিতেন। এতে করে রাস্তায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও ভয়ে কথা বলতেন না।
আরেকটি সূত্র জানায়- এ পর্যন্ত গুলশান, বারিধারা, বনানী, বসুন্ধরা আবাসিক ও ধানমন্ডি এলাকার ধনাঢ্য পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানের কাছে শতাধিক গাড়ি বিক্রি করে এ চক্রটি। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে- ফেরারি, ওডি, বেন্টলি কন্টিনেন্টাল কার, মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, রেঞ্জ রোভার মডেল। ছয় হাজার সিসির এসব গাড়ি দুই হাজার সিসি দেখিয়ে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আমদানি করা হয়। এরপর বিআরটিএর একটি সিন্ডিকেটের যোগসাজশে অবৈধ কাগজপত্র তৈরি করে এ গাড়িগুলো বিক্রি করা হয়। চক্রটির গাড়ি ব্যবসার কাগজপত্র যাচাই করলেই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে জানায় সূত্রটি।
আরেকটি সূত্র জানায়, মিশু ও পিয়াসা গ্রেফতার হলেও তাদের গ্রুপের অস্ত্রধারী সদস্য জনৈক সৌরভের নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ওডি আর-৮ ও একটি বেন্টলি কন্টিনেন্টাল কার রয়েছে। যেগুলো উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মিশু-পিয়াসার চোরাচালান চক্রের সদস্যদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
তিনি বলেন, সম্প্রতি হওয়া আলোচিত সাতটি মামলার ডকেট আমরা শুক্রবার বুঝে পেয়েছি। আসামিদের মধ্যে পরীমনি, মৌ, পিয়াসা ও রাজ বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান আমাদের হেফাজতে নেই। তারা অন্য মামলার তদন্তে ডিএমপির কাছে রয়েছে। তিনি আরও বলেন- আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, কেমিক্যাল ল্যাব, ডিএনএ ল্যাব ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। তাই মামলাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তে কোনো সমস্যা হবে না।
৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকার গুলশান, বারিধারা ও বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টি আয়োজনের বেশ কয়েকটি স্থানের তথ্য প্রদান করেন। এর ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েদা শাখা ও র্যাব-১ এর একটি দল বনানী এলাকায় বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে পরীমনি, নজরুল ইসলাম রাজ, পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দীপু ও রাজের ম্যানেজার সবুজ আলীকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার রাতে পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে গ্রেফতার করে ডিবি। এর আগে পৃথক ঘটনায় হেলেনা জাহাঙ্গীর, পিয়াসা এবং মৌসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
যাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে তারা হলেন- হেলেনা জাহাঙ্গীর, পরীমনি, পিয়াসা, মৌ, নজরুল ইসলাম রাজ, মিশু হাসান।
আগস্ট ০৫, ২০২১
স্বাস্থ্য সুরক্ষায়-ডাঃ জাহাংগির কবির
পরী মনির খবর
পরী মনি বাংলা সিনেমার নায়িকা হয়ে যে কাজ করেছে তা ভালো চোখে কেউ দেখছে না। অবশ্য শুধু তার দোষ দিয়ে লাভ কি? ভালো ভাবে খোঁজ নিলে এমন অপকর্ম অনেকেই করছে। চিত্র জগৎ, নাচ গানের মঞ্চ অশ্লীলতা দিয়েই শুরু হয়। মেয়েদের এ জাগায় মান সম্মান কিছুই থাকে না।ইজ্জৎ রক্ষা খুবই কঠিন।
জুলাই ১৯, ২০২১
আমরা কেন সাস্থ্য বিধি মানব?
ঈদুল আজহা সমাগত। অন্যদিকে অতিমারি করোনা এখনো তার ভয়ংকর রূপ নিয়ে তাণ্ডব অব্যাহত রেখেছে। ব্যাপক টিকাকরণের পর যেসব দেশ নিজেদের নিরাপদ ভেবেছিল, সেসব দেশেও করোনার আরেক দফা হানায় নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিমপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ায় কভিড বিপর্যয় চরমে, বাড়িঘরে পড়ে আছে মৃতদেহ। মুসলিমপ্রধান, হিন্দুপ্রধান, খ্রিস্টানপ্রধান, বৌদ্ধপ্রধান—কোনো ‘প্রধান’কেই ছাড় দিচ্ছে না করোনা। বাংলাদেশেও রুদ্ররূপ ধারণ করেছে নৃশংস করোনা। আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলার জমিনে মৃত্যুদূতের ব্যস্ততা যেমন বেড়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। শহরের সড়কে সেই চিরচেনা যানজট। ফুটপাত, অলিগলি থেকে অভিজাত শপিং মল, হোটেল, রেস্তোরাঁ—সর্বত্রই মানুষের সরব উপস্থিতি। পশুর হাটগুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। গ্রামমুখী গাড়ির চাপে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। কোথাও শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার অংশ হিসেবে ন্যূনতম মাস্কও পরছে না বেশির ভাগ মানুষ। ঈদ উৎসবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার উৎসবও শুরু হয়েছে, বিশেষ করে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে স্বজনের সঙ্গে মিলিত হতে ঈদ যাত্রায় ছুটছে মানুষ। একটি পরিসংখ্যান বলছে, গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে গত ১৫ ও ১৬ জুলাই দুই দিনে ঢাকা ছেড়েছে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮৭ সিম ব্যবহারকারী। এর সঙ্গে সিম ব্যবহারকারী নয়, এমন সদস্যদের হিসাব করলে সারা দেশে কয়েক কোটি মানুষ স্বজনের পানে ছুটছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, জাতীয় পরামর্শক কমিটি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ—সবাই বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। অনেক জেলা-উপজেলায় শনাক্তের হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ঈদের পরপরই সংক্রমণ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ধর্মীয় উৎসব পালনে এমন ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা কি আবশ্যিক? ইসলাম কি এর অনুমোদন দেয়?
শারীরিক সুস্থতা মহান আল্লাহর এক অপার নিয়ামত। ইসলাম স্বাস্থ্যসচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। স্বাস্থ্য রক্ষা করা শরিয়তের তাগিদ। ওয়াহাব ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (বুখারি, ৫৭০৩; তিরমিজি, ২৩৫০) কোরআন-সুন্নাহ ও শরিয়ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যেমন গুরুত্ব দিয়েছে, তেমনি তা কার্যকরের ফলপ্রসূ উপায়ও বাতলে দিয়েছে। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সুস্থ থাকাকে ইসলাম অধিক উৎসাহিত করেছে। এ জন্য আমরা দেখতে পাই, যে বিষয়গুলোর কারণে মানুষের রোগ হয়, ইসলাম সেগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে অবহেলা করা বা স্বেচ্ছায় শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করা ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই ইসলামে এ বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে তা হলো তার সুস্থতা সম্পর্কে। তাকে বলা হবে, আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (সুনানে তিরমিজি, ৩৩৫৮) সুস্থ শরীর আমাদের হাতে আল্লাহর দেওয়া আমানতও বটে। এই আমানতের যথার্থ রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য। কাজেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের ঈমান ও বিশ্বাসের দাবি।
ইসলাম মানবতার ধর্ম। মানুষের সহজাত স্বভাবের বিরুদ্ধ কোনো বিষয় ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। তাই মানুষের জান-মাল সংরক্ষণের ওপর ইসলাম বারবার তাগিদ প্রদান করেছে। কাজেই মহামারির উদ্ভব হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। হাদিসে মহামারির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সংক্রামক রোগ থেকে সাবধানতার বিষয়ে হাদিসে বলা হয়েছে, ‘কুষ্ঠ রোগী থেকে এমনভাবে পলায়ন করো, যেমন তুমি বাঘ থেকে পলায়ন করে থাকো।’ (বুখারি, ১৭৬৭) সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্বের সচেতনতা বিষয়ে হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘তোমরা কুষ্ঠ রোগীদের বারবার দেখতে যেয়ো না আর তাদের সঙ্গে যখন কথা বলবে, তখন তাদের এবং তোমাদের মাঝখানে একটি বর্শার পরিমাণ দূরত্ব থাকা উচিত।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৫৮১) আবু সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যেন কখনো রোগাক্রান্ত উট সুস্থ উটের সঙ্গে না রাখে।’ (বুখারি, ৫৭৭১; মুসলিম, ১৭৪৩) শুধু করোনাভাইরাস থেকে সাবধানে থাকব তা-ই নয়, বরং সব কিছু থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে আমাদের রব আল্লাহ তাআলাই নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা সাবধানতা অবলম্বন করো।’ (সুরা নিসা : ৭১) আল্লাহর হুকুম না হলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়, এ বিশ্বাস একজন মুমিন হিসেবে আমাদের থাকতে হবে। সুতরাং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা মুমিনের কাজ। আর সাবধানতা যেহেতু আল্লাহর নির্দেশ, তাই সাবধানতাও অবলম্বন করতে হবে। সুতরাং দুটির সমন্বয়েই আল্লাহর রহমত আসবে; আল্লাহ রক্ষা করবেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি কিভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা (তাওয়াক্কুল) করব? আমার উষ্ট্রীটি ছেড়ে দিয়ে, না বেঁধে রেখে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রথমে তোমার উষ্ট্রী বাঁধো, এরপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো।’ (তিরমিজি, ২৫১৭)
ক্ষতি প্রতিহত করা ইসলামের মূলনীতি। শরিয়ত নিজের ও অন্যের ক্ষতি করতে নিষেধ করেছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে ঠেলে দিয়ো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯৫) উবাদা বিন সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফায়সালা দেন অনুমোদিত নয় নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং অন্যকেও। (ইবনে মাজাহ, ২৩৪০) নাগরিকের দায়িত্ব হলো, ভালো কাজে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করা এবং মন্দ কাজে বাধা দেওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা শুভ কাজ ও খোদাভীরুতার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করো আর পাপ ও খোদাদ্রোহী কাজে সহযোগিতা করবে না।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ২) অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা নির্দেশ পালন করো আল্লাহ, রাসুল ও তোমাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাবানদের।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৯) হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্য ততক্ষণ পর্যন্ত অপরিহার্য, যতক্ষণ সে আল্লাহর অবাধ্যতার আদেশ না করে।’ (বুখারি, ২৯৫৫) অতিমারি করোনা নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের বিধি-নিষেধ আল্লাহর অবাধ্যতার নির্দেশ নয়, বরং ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর। মাস্ক পরার নির্দেশ, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ অন্যান্য বিধি-নিষেধ তাহলে কেন মানব না?
সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কোনো এলাকায় প্লেগ (মহামারি) রোগের সংবাদ শোনো, তখন সেই এলাকায় প্রবেশ কোরো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান করো, তথায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।’ (বুখারি, ৫৭২৮; মুসলিম, ২২১৮) ঈদ যাত্রাসহ নানাভাবে আমরা যে অতিমারি করোনার বিস্তারে প্রভাবকের কাজ করছি, তা কি ইসলাম অনুমোদন দেয়? আল্লাহর আদেশ পালন করতে মুসলিম মিল্লাতের পিতা ইবরাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানি দেওয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালাতে কুণ্ঠিত হননি। সেই স্মৃতি স্মরণ করে মুসলমানরা ঈদুল আজহার উৎসব পালন করে। আর এই উৎসব পালন করতে ঈদ যাত্রায় কোরআন, হাদিসের বিধান লঙ্ঘন করছি। অতিমারিকালের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্রের আদেশ-নির্দেশ পালনে অবিমৃশ্যকারিতার মাধ্যমে নিজের ও অন্যের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছি। প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে গিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালনের নামে ধর্মের বিধান লঙ্ঘন করছি।
লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
জুলাই ১৮, ২০২১
সাস্থ্য বিধি মেনে হজ্জ
করোনাকালে দ্বিতীয়বারের মতো সীমিতসংখ্যক হাজির অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে সৌদির বিভিন্ন স্থান থেকে হাজিরা মক্কার মসজিদুল হারামে এসে তাওয়াফ শুরু করেছেন। শনিবার ভোরবেলা থেকে হাজিদের পদচারণে মুখরিত হয়েছে পবিত্র কাবা চত্বর। গতকাল রবিবার (১৮ জুলাই) থেকে হজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২২ জুলাসই পাঁচ দিন পর্যন্ত হজের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
হজের প্রাথমিক কার্যক্রম হিসেবে হাজিরা এরই মধ্যে কাবার তাওয়াফ (তাওয়াফ কুদুম) শুরু করেছেন। এরপর তাঁরা সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। গতকাল রবিবার তাঁরা মিনা প্রাঙ্গণে অবস্থান করেছেন। এরপর আজ সোমবার তাঁরা ১০ কিলোমিটার দূরের আরাফা প্রাঙ্গণে যাবেন। এর পরদিন তাঁরা ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে কমসংখ্যক হজযাত্রীর অংশগ্রহণে গত বছর হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারও সীমিতসংখ্যক অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালে দীর্ঘ ছয় মাস সর্বসাধারণের ওমরা কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এরপর আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সীমিতসংখ্যক অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে হজের কার্যক্রম শুরু হয়।
সুত্রঃ আল আরাবিয়া
Source:Kalerkantho
নভেম্বর ১৫, ২০২০
করোনা থেকে সহজ সুরক্ষা
নভেম্বর ০৮, ২০২০
দেশের সব মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্কের ব্যবহার
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মাস্ক পরার বিষয়টি মসজিদের মাইকে প্রচার করা হবে। এ ছাড়া মসজিদের ফটকে মাস্ক পরার বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যানার প্রদর্শন করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মসজিদ কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কিছুক্ষণ পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে পোস্টার বা ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে তা জানাতে হবে।
দেশের সব মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্কের ব্যবহার এবং মাইকে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা প্রচার করতে স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধধর্মীয় ট্রাস্ট ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
Source : Islamic online Media
নভেম্বর ০৩, ২০২০
দেশের সেরা শিক্ষক
অক্টোবর ১৫, ২০২০
শিক্ষাব্যবস্থা পরীক্ষা নির্ভর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য - শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, পরীক্ষাই মূল্যায়নের একমাত্র ব্যবস্থা বলে অনেকে মনে করেন। সবাই শুধু জিপিএ-৫ পেতে দৌড়াচ্ছে। এটি শুধু পরীক্ষার্থী নয়, অভিভাবকদেরও বাড়তি চাপের মধ্যে ফেলছে।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবাই জিপিএ-৫ এর মোহে দৌড়াতে গিয়ে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক চাপ বাড়ছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা চেষ্টা করছি। পরীক্ষা ও সনদ নির্ভরতা কমিয়ে পাঠদানকে আনন্দদায়ক করা হবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে সব পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়নের কথা বলেছি। শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ খুব জরুরি, আমরা সে বিষয়েও কাজ করছি। একই সঙ্গে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কোনো সরকারই সেভাবে শিক্ষায় গুরুত্ব দেননি। গত কয়েক বছরে শিক্ষার যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে তা তারই কন্যার কারণে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষায় বড় ধরনের বিপ্লব সাধিত হয়েছে। সামনে ৩৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে যাচ্ছি। আমরা গুণগত শিক্ষা দিতে পারব।
ইরাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম সুমনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।