জুলাই ১৯, ২০২১

আমরা কেন সাস্থ্য বিধি মানব?

ঈদুল আজহা সমাগত। অন্যদিকে অতিমারি করোনা এখনো তার ভয়ংকর রূপ নিয়ে তাণ্ডব অব্যাহত রেখেছে। ব্যাপক টিকাকরণের পর যেসব দেশ নিজেদের নিরাপদ ভেবেছিল, সেসব দেশেও করোনার আরেক দফা হানায় নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিমপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ায় কভিড বিপর্যয় চরমে, বাড়িঘরে পড়ে আছে মৃতদেহ। মুসলিমপ্রধান, হিন্দুপ্রধান, খ্রিস্টানপ্রধান, বৌদ্ধপ্রধান—কোনো ‘প্রধান’কেই ছাড় দিচ্ছে না করোনা। বাংলাদেশেও রুদ্ররূপ ধারণ করেছে নৃশংস করোনা। আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলার জমিনে মৃত্যুদূতের ব্যস্ততা যেমন বেড়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। শহরের সড়কে সেই চিরচেনা যানজট। ফুটপাত, অলিগলি থেকে অভিজাত শপিং মল, হোটেল, রেস্তোরাঁ—সর্বত্রই মানুষের সরব উপস্থিতি। পশুর হাটগুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। গ্রামমুখী গাড়ির চাপে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। কোথাও শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার অংশ হিসেবে ন্যূনতম মাস্কও পরছে না বেশির ভাগ মানুষ। ঈদ উৎসবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার উৎসবও শুরু হয়েছে, বিশেষ করে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে স্বজনের সঙ্গে মিলিত হতে ঈদ যাত্রায় ছুটছে মানুষ। একটি পরিসংখ্যান বলছে, গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে গত ১৫ ও ১৬ জুলাই দুই দিনে ঢাকা ছেড়েছে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮৭ সিম ব্যবহারকারী। এর সঙ্গে সিম ব্যবহারকারী নয়, এমন সদস্যদের হিসাব করলে সারা দেশে কয়েক কোটি মানুষ স্বজনের পানে ছুটছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, জাতীয় পরামর্শক কমিটি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ—সবাই বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। অনেক জেলা-উপজেলায় শনাক্তের হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ঈদের পরপরই সংক্রমণ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ধর্মীয় উৎসব পালনে এমন ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা কি আবশ্যিক? ইসলাম কি এর অনুমোদন দেয়?

শারীরিক সুস্থতা মহান আল্লাহর এক অপার নিয়ামত। ইসলাম স্বাস্থ্যসচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। স্বাস্থ্য রক্ষা করা শরিয়তের তাগিদ। ওয়াহাব ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (বুখারি, ৫৭০৩; তিরমিজি, ২৩৫০) কোরআন-সুন্নাহ ও শরিয়ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যেমন গুরুত্ব দিয়েছে, তেমনি তা কার্যকরের ফলপ্রসূ উপায়ও বাতলে দিয়েছে। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সুস্থ থাকাকে ইসলাম অধিক উৎসাহিত করেছে। এ জন্য আমরা দেখতে পাই, যে বিষয়গুলোর কারণে মানুষের রোগ হয়, ইসলাম সেগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে অবহেলা করা বা স্বেচ্ছায় শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করা ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই ইসলামে এ বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে তা হলো তার সুস্থতা সম্পর্কে। তাকে বলা হবে, আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (সুনানে তিরমিজি, ৩৩৫৮) সুস্থ শরীর আমাদের হাতে আল্লাহর দেওয়া আমানতও বটে। এই আমানতের যথার্থ রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য। কাজেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের ঈমান ও বিশ্বাসের দাবি।

ইসলাম মানবতার ধর্ম। মানুষের সহজাত স্বভাবের বিরুদ্ধ কোনো বিষয় ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। তাই মানুষের জান-মাল সংরক্ষণের ওপর ইসলাম বারবার তাগিদ প্রদান করেছে। কাজেই মহামারির উদ্ভব হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। হাদিসে মহামারির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সংক্রামক রোগ থেকে সাবধানতার বিষয়ে হাদিসে বলা হয়েছে, ‘কুষ্ঠ রোগী থেকে এমনভাবে পলায়ন করো, যেমন তুমি বাঘ থেকে পলায়ন করে থাকো।’ (বুখারি, ১৭৬৭) সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্বের সচেতনতা বিষয়ে হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘তোমরা কুষ্ঠ রোগীদের বারবার দেখতে যেয়ো না আর তাদের সঙ্গে যখন কথা বলবে, তখন তাদের এবং তোমাদের মাঝখানে একটি বর্শার পরিমাণ দূরত্ব থাকা উচিত।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৫৮১) আবু সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যেন কখনো রোগাক্রান্ত উট সুস্থ উটের সঙ্গে না রাখে।’ (বুখারি, ৫৭৭১; মুসলিম, ১৭৪৩) শুধু করোনাভাইরাস থেকে সাবধানে থাকব তা-ই নয়, বরং সব কিছু থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে আমাদের রব আল্লাহ তাআলাই নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা সাবধানতা অবলম্বন করো।’ (সুরা নিসা : ৭১) আল্লাহর হুকুম না হলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়, এ বিশ্বাস একজন মুমিন হিসেবে আমাদের থাকতে হবে। সুতরাং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা মুমিনের কাজ। আর সাবধানতা যেহেতু আল্লাহর নির্দেশ, তাই সাবধানতাও অবলম্বন করতে হবে। সুতরাং দুটির সমন্বয়েই আল্লাহর রহমত আসবে; আল্লাহ রক্ষা করবেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি কিভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা (তাওয়াক্কুল) করব? আমার উষ্ট্রীটি ছেড়ে দিয়ে, না বেঁধে রেখে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রথমে তোমার উষ্ট্রী বাঁধো, এরপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো।’ (তিরমিজি, ২৫১৭)

ক্ষতি প্রতিহত করা ইসলামের মূলনীতি। শরিয়ত নিজের ও অন্যের ক্ষতি করতে নিষেধ করেছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে ঠেলে দিয়ো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯৫) উবাদা বিন সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফায়সালা দেন অনুমোদিত নয় নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং অন্যকেও। (ইবনে মাজাহ, ২৩৪০) নাগরিকের দায়িত্ব হলো, ভালো কাজে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করা এবং মন্দ কাজে বাধা দেওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা শুভ কাজ ও খোদাভীরুতার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করো আর পাপ ও খোদাদ্রোহী কাজে সহযোগিতা করবে না।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ২) অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা নির্দেশ পালন করো আল্লাহ, রাসুল ও তোমাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাবানদের।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৯) হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্য ততক্ষণ পর্যন্ত অপরিহার্য, যতক্ষণ সে আল্লাহর অবাধ্যতার আদেশ না করে।’ (বুখারি, ২৯৫৫) অতিমারি করোনা নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের বিধি-নিষেধ আল্লাহর অবাধ্যতার নির্দেশ নয়, বরং ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর। মাস্ক পরার নির্দেশ, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ অন্যান্য বিধি-নিষেধ তাহলে কেন মানব না?

সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কোনো এলাকায় প্লেগ (মহামারি) রোগের সংবাদ শোনো, তখন সেই এলাকায় প্রবেশ কোরো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান করো, তথায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।’ (বুখারি, ৫৭২৮; মুসলিম, ২২১৮) ঈদ যাত্রাসহ নানাভাবে আমরা যে অতিমারি করোনার বিস্তারে প্রভাবকের কাজ করছি, তা কি ইসলাম অনুমোদন দেয়? আল্লাহর আদেশ পালন করতে মুসলিম মিল্লাতের পিতা ইবরাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানি দেওয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালাতে কুণ্ঠিত হননি। সেই স্মৃতি স্মরণ করে মুসলমানরা ঈদুল আজহার উৎসব পালন করে। আর এই উৎসব পালন করতে ঈদ যাত্রায় কোরআন, হাদিসের বিধান লঙ্ঘন করছি। অতিমারিকালের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্রের আদেশ-নির্দেশ পালনে অবিমৃশ্যকারিতার মাধ্যমে নিজের ও অন্যের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছি। প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে গিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালনের নামে ধর্মের বিধান লঙ্ঘন করছি।

লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

Source: Kalerkontho

জুলাই ১৮, ২০২১

সাস্থ্য বিধি মেনে হজ্জ

 


করোনাকালে দ্বিতীয়বারের মতো সীমিতসংখ্যক হাজির অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে সৌদির বিভিন্ন স্থান থেকে হাজিরা মক্কার মসজিদুল হারামে এসে তাওয়াফ শুরু করেছেন। শনিবার ভোরবেলা থেকে হাজিদের পদচারণে মুখরিত হয়েছে পবিত্র কাবা চত্বর। গতকাল রবিবার (১৮ জুলাই) থেকে হজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২২ জুলাসই পাঁচ দিন পর্যন্ত হজের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

হজের প্রাথমিক কার্যক্রম হিসেবে হাজিরা এরই মধ্যে কাবার তাওয়াফ (তাওয়াফ কুদুম) শুরু করেছেন। এরপর তাঁরা সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। গতকাল রবিবার তাঁরা মিনা প্রাঙ্গণে অবস্থান করেছেন। এরপর আজ সোমবার তাঁরা ১০ কিলোমিটার দূরের আরাফা প্রাঙ্গণে যাবেন। এর পরদিন তাঁরা ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।

আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে কমসংখ্যক হজযাত্রীর অংশগ্রহণে গত বছর হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারও সীমিতসংখ্যক অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালে দীর্ঘ ছয় মাস সর্বসাধারণের ওমরা কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এরপর আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সীমিতসংখ্যক অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে হজের কার্যক্রম শুরু হয়।

সুত্রঃ আল আরাবিয়া

Source:Kalerkantho

নভেম্বর ১৫, ২০২০

ক‌রোনা থে‌কে সহ‌জ সুরক্ষা

স্যানিটাইজার,  স্প্রে, জুতোর স্প্রে, পারলে মানুষ এ্যারোসল ছিটিয়ে বাতাস দূষণ থেকে মুক্ত হতে চাইছে।
 স্যানিটাইজার ব্যবহার,  ডিসইনফেক্ট্যান্ট ছিটিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যাচ্ছে।
তাই সহজ উপায় হল :
* ৩ বেলা খাবারের আগে হাত ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে।
* ৫ বেলা ওজুর সময় হাতে সাবান লাগিয়ে নিন।
* বাইরে থেকে এসে হাত ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে।
* মনে রাখবেন, শুধু হাত সাবান দিয়ে ধুলে ৭০ শতাংশ ইনফেকশন কমে যায়।
* আর বাইরে গেলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। ৩ পর্দার গেঞ্জি বা সুতি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করলেই হবে।
* মাস্ক ব্যবহার করলে সংক্রমণ কমে যাবে। সংক্রমণ হলেও তা হবে স্বল্প মাত্রায়। ভাইরাসের ইনফেকশন ডোজ কম হবে।
* মানুষকে এত দুশ্চিন্তা আর আতঙ্কে ফেলার কোন দরকার নেই।
* আগের থেকেই বাজারের তরিতরকারি কিনে ভিনেগারে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখার নিয়ম আছে। ইনফেকটিসাইড দূর করার জন্য সিডিসি আগের থেকেই বলে আসছিল এ কথা।


Source: Kalerkantha

নভেম্বর ০৮, ২০২০

দেশের সব মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্কের ব্যবহার

 করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মাস্ক পরার বিষয়টি মসজিদের মাইকে প্রচার করা হবে। এ ছাড়া মসজিদের ফটকে মাস্ক পরার বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যানার প্রদর্শন করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মসজিদ কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কিছুক্ষণ পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নো মাস্ক নো সার্ভিসবিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে পোস্টার বা ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে তা জানাতে হবে।

দেশের সব মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্কের ব্যবহার এবং মাইকে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা প্রচার করতে স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধধর্মীয় ট্রাস্ট ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।


Source : Islamic online Media

নভেম্বর ০৩, ২০২০

দে‌শের সেরা শিক্ষক

দেশের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম।

‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯’ উপলক্ষে রোববার তাকে দেশের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।গত সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) শামীম আরা নাজনীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে একই অনুষ্ঠানে মো. শহিদুল ইসলাম প্রথমে বালিয়াকান্দি উপজেলা পর্যায়ে এবং পরে রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়।এর পর ঢাকা বিভাগের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি দেশের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন।

শহিদুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিজ্ঞান বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন এবং ২ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে প্রথম যোগদান করেন।জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৮তে স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জেলার সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়।দেশের মধ্যে তিনি প্রথম তার বিদ্যালয়ে ‘সততা স্টোর’ নামে বিক্রেতাবিহীন দোকান প্রতিষ্ঠা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ছয় বছর ধরে মো. শহিদুল ইসলাম কোন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করেননি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি তিনি নিজে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা বিদ্যালয়টিতে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন।

তার বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, গ্রন্থাগার, নামাজ ঘর, শহীদ মিনার, উপকরণ কর্নার, মিনা রাজু পার্ক, পতাকা মঞ্চ, ভূগোলক, রিডিং কর্নার, হাসান আলী স্কয়ার, আমাদের ভুবন, পশুপাখির ম্যুরালসহ নানাবিধ স্থাপনা স্থানীয়ভাবে সম্পন্ন করেন।তিনি যোগদানের পর বিদ্যালয়টিতে  সাফল্য পায় শিক্ষার্থীরা। সমাপনীতে ভালো ফল লাভের জন্য তিনি বিদ্যালয়ের সময়সূচির বাইরে বৈকালিক/নৈশকালীন বিদ্যালয় চালু করেছেন।

Source: The Daily Jugantor

অক্টোবর ১৫, ২০২০

শিক্ষাব্যবস্থা পরীক্ষা নির্ভর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য - শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, পরীক্ষাই মূল্যায়নের একমাত্র ব্যবস্থা বলে অনেকে মনে করেন। সবাই শুধু জিপিএ-৫ পেতে দৌড়াচ্ছে। এটি শুধু পরীক্ষার্থী নয়, অভিভাবকদেরও বাড়তি চাপের মধ্যে ফেলছে।

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবাই জিপিএ-৫ এর মোহে দৌড়াতে গিয়ে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক চাপ বাড়ছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা চেষ্টা করছি। পরীক্ষা ও সনদ নির্ভরতা কমিয়ে পাঠদানকে আনন্দদায়ক করা হবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে সব পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়নের কথা বলেছি। শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ খুব জরুরি, আমরা সে বিষয়েও কাজ করছি। একই সঙ্গে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কোনো সরকারই সেভাবে শিক্ষায় গুরুত্ব দেননি। গত কয়েক বছরে শিক্ষার যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে তা তারই কন্যার কারণে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষায় বড় ধরনের বিপ্লব সাধিত হয়েছে। সামনে ৩৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে যাচ্ছি। আমরা গুণগত শিক্ষা দিতে পারব।

ইরাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম সুমনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

আগস্ট ০১, ২০২০

লূত (আঃ) এর উম্মতের দুর্ভাগ্য

আল্ কুরআন,  সূরা হুদ :  আয়াত ৮১
 
তারা বলল, ‘হে লূত, আমরা তোমার রবের প্রেরিত ফেরেশতা, তারা কখনো তোমার কাছে পৌঁছতে পারবে না। সুতরাং তুমি তোমার পরিবার নিয়ে রাতের কোন এক অংশে রওয়ানা হও, আর তোমাদের কেউ পিছে তাকাবে না। তবে তোমার স্ত্রী (রওয়ানা হবে না), কেননা তাকে তা-ই আক্রান্ত করবে যা তাদেরকে আক্রান্ত করবে। নিশ্চয় তাদের (আযাবের) নির্ধারিত সময় হচ্ছে সকাল। সকাল কি নিকটে নয়’?

Tafseer : 
তারা বলল, ‘হে লূত! আমরা তো তোমার প্রতিপালক প্রেরিত (ফিরিশতা), ওরা কখনই তোমার নিকট পৌঁছতে পারবে না। অতএব তুমি রাত্রির কোন এক ভাগে নিজের পরিবারবর্গকে নিয়ে (অন্যত্র) চলে যাও। তোমাদের কেউ যেন পিছনের দিকে ফিরেও না দেখে, কিন্তু তোমার স্ত্রী নয়, তার উপরেও ঐ (আযাব) আসবে, যা অন্যান্যদের উপরে আসবে। তাদের (শাস্তির) নির্ধারিত সময় হল প্রভাতকাল; প্রভাত কি নিকটবর্তী নয়?’ [১]

[১] ফিরিশতাগণ যখন লূত (আঃ)-এর অস্থিরতা ও উৎকণ্ঠা এবং তাঁর সম্প্রদায়ের অবাধ্যতা স্বচক্ষে দেখে নিলেন, তখন বললেন, 'হে লূত (আঃ) আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, আমাদের নিকট তো দূরের কথা, এখন ওরা আপনার নিকটেও পৌঁঁছতে পারবে না। আপনি কিছুটা রাত থাকতে আপনার স্ত্রী ছাড়া বাকি লোকজনসহ এখান থেকে অন্যত্র সরে যান! প্রত্যুষকালেই এই গ্রামকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।'

জুলাই ১৮, ২০২০

মহানবী মুহাম্মদ (স.)এর প্রসংশায়-- শেখ সাদী


বালাগাল উলা বি কামালিহি,
কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহি,
হাসুনাত জামিয়ু খিসালিহি,
সাল্লু আলায়হে ওয়া আলিহি...
অর্থ :
তিনি পৌঁছে গেছেন সর্বোচ্চ মর্যাদায় তাঁর সুমহান চরিত্রের দ্বারা। 
বিদুরিত হয়েছে সকল অন্ধকার তাঁর সৌন্দর্যের ছটায়। 
সম্মিলন ঘটেছে তাঁর মাঝে সকল উন্নত চরিত্রের। 
পেশ করুন তাঁর প্রতি ও তাঁর  সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি দরুদ ও সালাম।

মার্চ ০৩, ২০২০

** রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যয়ে ইসলামের নির্দেশনা


** রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যয়ে ইসলামের নির্দেশনা

দেশ ও জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন ও যথাযথ ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে। তাই ইসলাম রাষ্ট্রীয় সম্পদ যথার্থ ও ন্যায়সংগত ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) রাষ্ট্রীয় সম্পদের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রয়াস পান। একই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদের সব ধরনের অপব্যয় ও অপরিণামদর্শী ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহানবী (সা.) অর্থ প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সম্পদের প্রবাহকে তিনি নিয়মাধীন করেন। যেন সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা যায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সম্পদ যেন তোমাদের ধনীদের হাতে কুক্ষিগত হয়ে না যায়।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : )

কোরআন তিলাওয়াত :


03/03/2020
কোরআন তিলাওয়াত :
 কোরআন মানুষকে আলোকিত করে। অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে। মহান আল্লাহ এই মহাগ্রন্থটিকে জ্যোতি বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে,   আল্লাহর কাছ থেকে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব তোমাদের কাছে এসে গেছে। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চায়, এটা দিয়ে তিনি তাদের শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ ইচ্ছায় অন্ধকার থেকে বের করে আলোকে নিয়ে আসেন। আর তাদের সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন।“ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১৫-১৬)